শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা পাঁচে বাংলাদেশের কিশোয়ার

সাংবাদিকের নাম

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ, ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম

বিশ্বের অনেক দেশই মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। কিন্তু জনপ্রিয়তায় মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান সবার শীর্ষে। শুধু তাই নয়, মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া টেলিভিশন রিয়েলিটি শো অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানও বটে। এখন এর ১৩ তম আসরের মূল পর্ব চলছে। প্রাথমিক বাছাইপর্ব পেরিয়ে মোট ২৪ জন অংশ নিচ্ছিলেন চূড়ান্ত পর্বে। তুমুল প্রতিযোগিতার পর তাদের মধ্য থেকে সেরা ৫ জন অবশিষ্ট রয়েছেন। সেরা ৫ এ রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নারী কিশোয়ার চৌধুরী।

কিশোয়ার সহ সেরা ৬ প্রতিযোগীরা সোমবার মার্টিন বেন এর সোসাইটি সার্ভিস চ্যালেঞ্জে অংশ নেন। এতে সকলকে অবাক করে দিয়ে সাবিনা নিউটন নামের এক প্রতিযোগীকে বাদ দেয়া হয়। রয়ে যান কিশোয়ার চৌধুরী। অন্য চার প্রতিযোগীরা হলেন লিন্ডা ডেরিম্পল, পিট ক্যাম্পবেল, জাস্টিন নারায়ণ এবং এলিস পুলব্রুক।

এই লম্বা যাত্রায় কিশোয়ার বাংলাদেশের নানা স্বাদের মজাদার সব ঐতিহ্যবাহী পদ যেমনঃ মাছের ঝোল, ভর্তা, ফুচকা, চটপটি ইত্যাদি খাইয়ে বিচারকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। দর্শকদের অনেকেই মনে করছেন তিনি-ই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করবেন। তাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে সাড়া পড়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে সমর্থন করছেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরাসহ অনেক অস্ট্রেলিয়ান। বিজয়ী হলে অন্যান্য অনেক আকর্ষনীয় পুরস্কারের সাথে তিনি পাবেন প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে- ৩৮ বছর বয়সী কিশোয়ার চৌধুরীর ডাকনাম নূপুর। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কামরুল হোসাইন চৌধুরী তার বাবা। মায়ের নাম লায়লা চৌধুরী, স্বামীর নাম এহতেশাম।

প্রতিযোগিতার সাইটে উল্লেখ রয়েছে- মেলবোর্নে জন্ম ও বেড়ে উঠা কিশোয়ার মিকায়েল (১১) ও সেরাফিনা (৪) নামে দুই সন্তানের মা। তিনি পুনরায় ২০১৫ সালে মেলবোর্নে ফেরার আগে ৬ বছর বাংলাদেশে ছিলেন তার ব্যবসা দাঁড় করাতে, এর আগে ছিলেন জার্মানিতে। তার তিনটি মহাদেশে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইতিহাসপ্রেমী কিশোয়ার ঘুরে বেড়াতে, কবিতা লিখতে ভালোবাসেন। তিনি প্রিন্টিং ব্যবসার স্বত্ত্বাধিকারী।